রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

মীরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনা আহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ৫ আগস্ট, ২০২২
  • ৫২১ বার পড়া হয়েছে /

টানা ৬ দিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন মীরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মোহাম্মদ আয়াত (১৭) । এনিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জনে।

 

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বেলা সোয়া ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন।

 

মোহাম্মদ আয়াত এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়িও হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকার খন্দকিয়া গ্রামে। তার পিতার নাম আবদুল কুদ্দুস।

 

চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা বলেন, ‘আয়াতের শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম ছিল। তাই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। প্রথম থেকেই শঙ্কা ছিল তাকে নিয়ে। কারণ দুর্ঘটনায় তার মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত লাগে। এরপর থেকে তার জ্ঞান ফেরেনি। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে তার অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে।’

 

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বেলা পৌনে ২টায় মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়ায় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় ৭ জনকে ভর্তি করা হয় চমেক হাসপাতালে। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বাকি ৬ জন যথাক্রমে তছমির হাসান পাবেল (১৬), মহিবুল ইসলাম মাহিম (১৮), মো. সৈকত হোসেন (১৬), তানভীর আলম হৃদয় (১৮), মোহাম্মদ আয়াত (১৭) এবং মাইক্রোবাসের চালকের সহকারী তৌকিদ ইবনে শাওনকে (২০) দুটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

 

ওইদিন বড়তাকিয়া রেলগেটে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় হাটহাজারীর আরএনজে কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষকদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

 

 

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD