শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন

কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ, প্রথম দিনেই ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২
  • ৩৪০ বার পড়া হয়েছে /

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের প্রথম দিনেই ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্র।

বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি বিএফডিসির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আজকে পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার) ১৬০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ হয়েছে হ্রদ থেকে। এতে ৩০ লাখ টাকার মতো রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর মধ্যে কাচকি ও চাপিলা মাছ বেশি।

তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদে প্রথম দিকে জালে কিছু ছোট মাছ আসতে থাকে। আশা করি দ্রুত এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে ছোট মাছ বেশি আসে এবং বড় মাছগুলো স্থানীয় বাজারে চলে যায়। বড় মাছগুলো এখানে আসলে রাজস্ব আরো বাড়তো।

বিএফডিসি রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে মৎস্য আহরণ থেকে রাজস্ব আয় করা হয়েছে ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। কাপ্তাই হ্রদের ৪টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে থেকে এ রাজস্ব আদায় করা হয়।

এর মধ্যে ১৭ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়। ২০২২ সালে এবার পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে ৬০ মেট্রিক টন ৩২২ কেজি।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাধার বলা হয় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদকে। প্রায় ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাপ্তাই হ্রদটি রাঙামাটির আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত। মূলতঃ ষাটের দশকে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এই হ্রদের সৃষ্টি হলেও বর্তমানে মিঠা পানিতে মৎস্য উৎপাদন ও সরকারের রাজস্ব আদায়ে ভূমিকা রাখছে এই হ্রদটি।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD