শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন

‘মূল্যস্ফীতি হলেও বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি নেই ’

প্রতিনিধির নাম
  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২
  • ৩০২ বার পড়া হয়েছে /

সর্বোচ্চ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কবলে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। যেখানে লঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ। সেই তুলনায় বাংলাদেশে মাত্র ৮.৩ শতাংশ। এছাড়াও চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি বা খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংক।

সর্বোচ্চ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কবলে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো মূল্যস্ফীতির তোপের মুখে পড়লেও বাংলাদেশ সুবিধাজনক জায়গায় আছে। কারণ, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংক।

বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় এবার খাদ্য মূল্যস্ফীতি বহু বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। তবে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি অনুভব করেনি।
ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাত মিলে দক্ষিণ এশিয়ায় গড় মূল্যস্ফীতি হবে সাড়ে ১৫ শতাংশ। মূলত খাদ্য ঘাটতিই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছে সংস্থাটি।

সংস্থাটির তথ্যমতে, শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৬ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের মাত্র ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তা মোকাবিলায় কৃষিনীতি সামঞ্জস্য করেছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে, কৃষি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে, ভর্তুকি বাড়িয়েছে সারে এবং রফতানিকারকদের একটি নগদ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।

এশিয়ার অন্য দেশগুলোর বিষয়ে সংস্থাটি জানায়, পাকিস্তানে গম ও চালের উৎপাদন কিছুটা কমেছে। এর কারণ সারের অভাব এবং তাপমাত্রা। এছাড়া উল্লেখযোগ্য খাদ্য সরবরাহের ঘাটতিতে রয়েছে ভুটান ও শ্রীলঙ্কা।

শ্রীলঙ্কায় কৃষি উৎপাদন ৪০-৫০ শতাংশ কম হয়েছে। সারের ঘাটতি এবং খাদ্য আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রার প্রভাবে এই অবস্থা হয়েছে। সার এবং জ্বালানির ঘাটতি খাদ্য সরবরাহকে আরও সীমিত করবে বলে আশঙ্কা করেছে বিশ্বব্যাংক।

তবে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত খাদ্যে কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক। ভারত ৪৪ হাজার টন ইউরিয়ার প্রথম চালান পেয়েছে। ভারতীয় চালের চাহিদা বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD