পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, আমাদের দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থার কারণে মূল্যস্ফীতি হয়নি। মূল্যস্ফীতি হয়েছে বৈদেশিক আমদানির কারণে। দেশের উৎপাদন ব্যবস্থাও সচল ছিল। যার কারণে শিল্পে প্রবৃদ্ধি হয়েছিলো ১২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) নগরীরর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন ফর এ সাসটেইনেবল ইকোনোমিক’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রেক্ষোপটে নীতি-জ্ঞন প্রয়োগের সঠিক সমন্বয় নেই। এজন্য অনেক ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব দেখা দেয়। দেশে বর্তমানে একটা বহুমুখী অর্থনৈতিক অবস্থায় আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিবেশের যাতে কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে সেজন্য বদ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। আমাদের জ্ঞনের কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে দেশে বিশ্ব মানের অর্থনীতিবিদরা রয়েছে। তবে যেটার অভাব আছে সেটা হচ্ছে একাডেমিকের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রি সংযোগের অভাব। আমরা সময়ের সঙ্গে পেরে উঠছি না। তবে আমাদের অর্থনীতি একটি সবল অর্থনীতি হওয়ার কারণে কোভিড সংকটেও আমরা পিছিয়ে যায়নি। যেখানে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেও কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি। আমরা সেটা অর্জন করতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি যখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে (অর্থ প্রতিমন্ত্রী) কাজ করতাম তখন বাজেট তৈরির সময় বিভিন্ন স্টেক হোল্ডাররা তদবির করতো আসতো। আমি দেখেছি, পিএইচডি হোল্ডার, ফিজিক্সে পড়াশুনা করে এমন ব্যক্তিরাও তদবির নিয়ে আসতো। অনেকে বাজেটের পক্ষে কথা বলার জন্য তদবির নিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মাজহারুল ইসলাম রানা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অব স্কিল ইনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএসইটি) চেয়ারম্যান ড. মোয়াজ্জেম হোসেনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই