ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী বহনকারী একটি নৌকা সিরিয়ার উপকূলে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৩৪ অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিরিয়ার সরকারের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এই গণমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নৌকাডুবির ঘটনার পর মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা লোকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।জানা গেছে, নৌকাটি লেবানন থেকে ইউরোপের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলো। নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন জীবিত অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরও উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড কর্তৃপক্ষ।
জীবিত উদ্ধার হওয়া আরো ২০ জনকে তার্তুসের বাসেল হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। সিরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে বলেছে, গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) লেবাননের উত্তর মিনিয়েহ অঞ্চল থেকে নৌকাটি যাত্রা শুরু করে এবং এটিতে ১২০ থেকে ১৫০ জনের মধ্যে আরোহী ছিল।
উত্তাল সমুদ্র এবং প্রবল বাতাসের কারণে সৃষ্ট কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই অনুসন্ধান অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন বন্দর মহাপরিচালক সামের কুব্রুসলি।
তার্তুসের গভর্নর আব্দুল হালিম খলিল হাসপাতালে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দেখতে গেছেন বলে জানা গেছে। অবশ্য ডুবে যাওয়া নৌকায় ঠিক কতজন লোক ছিল এবং তারা ঠিক কোথায় যাচ্ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হওয়া যায়নি। তবে কোস্টগার্ড এখনো মৃতদেহের সন্ধান করছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে বিভিন্ন দেশের মানুষ ছিল। কিছু লেবানিজ, সিরিয়ান এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংকট-বিধ্বস্ত লেবানন থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ক্রমেই বাড়ছে এবং অবৈধ এই যাত্রা পথে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা।অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শুধু লেবাননেই হাজার হাজার লোক তাদের চাকরি হারিয়েছে এবং লেবানিজ পাউন্ডের মূল্য ৯০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার তাদের ক্রয় ক্ষমতা হারিয়েছে এবং এখন তারা কার্যত চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।