রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন

কানাডা যাচ্ছে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের আরো ১৪ সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৭৬ বার পড়া হয়েছে /

সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের আরো ১৪ সদস্য কানাডার উদ্দেশ্য ক্যাম্প ছেড়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মুহিবুল্লাহর মা এবং দুই ভাইয়ের স্ত্রী, ছেলে-সন্তানসহ অন্যান্যরা। গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা ক্যাম্প ত্যাগ করেন বলে জানা গেছে । এ নিয়ে কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে দ্বিতীয়বারের মতো কানাডায় যাত্রা করলো ১৪ রোহিঙ্গা।কানাডাগামীরা হলেন- নিহত মুহিব উল্লাহর মা উম্মা ফজল (৬০); ছোট ভাই হাবিব উল্লাহর স্ত্রী আসমা বিবি (৩৫); সন্তান কয়কবা (১৫); বয়সারা (১৩); হুনাইসা (৯); মোঃ আইমন (৮); ওরদা বিবি (৫); মোঃ আশরাফ (৫); আরেক ভাই আহম্মদ উল্লাহর স্ত্রী শামছুন নাহার (৩৭); সন্তান হামদাল্লাহ (১১); হান্নানা বিবি (৯); আফসার উদ্দীন (৭); সোহানা বিবি (৫) ও মেজবাহ উল্লাহ (১)।এর আগে, নিজের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) কার্যালয়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহ নিহত হবার পর নিরাপত্তা বিবেচনায় তার পরিবারকে ১৩ অক্টোবর এবং পরদিন তার সংগঠনের আরো ১০ নেতার পরিবারকে ক্যাম্প থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয় বলে জানান কক্সবাজারের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কর্মকর্তারা।

বিষয়টি স্বীকার করে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক উচ্চ পর্যায়ের সরকারি এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, মুহিবুল্লাহর মাসহ তার দুই ভাইয়ের পরিবারের ১৪ জন সদস্য কানাডার উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করছেন। তাদের এখানকার প্রক্রিয়া শেষে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ৮-এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপস) মো. ফারুক আহমেদ জানান, জাতিসংঘের মাধ্যমে মুহিবুল্লাহর মা এবং দুই ভাইয়ের স্ত্রী-সন্তানসহ ১৪ জনকে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, বিষয়টি আমার জানা নেই।

এদিকে গত বছরের ১৭ অক্টোবর মুহিবুল্লাহর স্ত্রী, সন্তানসহ ১১জন পরিবারের সদস্য কানাডায় যাত্রা করেছিলেন। এদের মধ্যে মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, ৯ ছেলেমেয়ে ছাড়াও এক মেয়ে জামাই ছিলেন।

তাদের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় কানাডার সরকারি কর্মসূচির আওতায় ‘শরণার্থী’ মর্যাদা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্টের রোহিঙ্গা মো. জিয়াবুল হক রোহিঙ্গা জানান, কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে মুহিবুল্লাহর দুই ভাইয়ের পরিবারের ১৪ সদস্যকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ক্যাম্প থেকে ঢাকা নিয়ে গেছেন। এসময় পুলিশসহ জাতিসংঘের লোকজন ছিলেন।

মুহিবুল্লাহ নিহত হবার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার ছাড়া অন্য কোনো দেশে (থার্ড কান্ট্রি) আশ্রয়ে চেয়ে আবেদন করে তার পরিবারের সদস্যরা।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার এবং যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন করেন তারা। আবেদনে তারা যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া বা কানাডার নাম উল্লেখ করেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার

মো: শামসুদ্দৌজা নয়ন । তবে, শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD