শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন

মহাসড়কের পাশে নির্জন স্থানে পড়েছিল রক্তাক্ত বৃদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে /

পুলিশের তাৎক্ষণিক সহযোগীতায় প্রাণ বাঁচলো সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকা মো. আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাসের (৬০)। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা গ্রামে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক।জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা পুলিশের একটি টিম পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে যাচ্ছিল। পথে হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পালড়া নামক স্থানে ষাটোর্ধ এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।পরে পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকারকে তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন।

 

এসময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

 

আহত কুদ্দুস বিশ্বাসের বড় ছেলে সুমন বিশ্বাস বলেন, আমার বাবা মিতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক। আজ (শুক্রবার) এশার নামাজ শেষে পালড়া বাজারে যাওয়ার পথে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। পুলিশ আমার বাবাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

 

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. শামীমা জানান, দুর্ঘটনায় আহত কুদ্দুস বিশ্বাসের মস্তিস্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে। জটিলতার কারণে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রউফ সরকার বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়সহ আমাদের একটি টিম বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে যাচ্ছিল। পথে পালড়া নামক স্থানে পৌঁছালে রাস্তার পাশে নির্জন স্থানে একজন বৃদ্ধ লোককে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার মাথা ও কাঁধে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সিএনজি, হ্যালোবাইক অথবা অন্য কোনো যানবাহনের ধাক্কায় তিনি আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের গাড়িযোগে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তাররা বলেছেন, একটু দেরিতে আসলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD