অতীতের দুটি নির্বাচন কমিশনের নানা কর্মকাণ্ডে সমালোচিত দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা। ফলে নির্বাচন হলেও খুব একটা কেন্দ্রমুখী হন না ভোটাররা, সেইসাথে আগ্রহ কমছে রাজনৈতিক দল আর প্রার্থীদের। এমন পরিস্থিতি কিছুটা ভাবাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনকে। কারণ নতুন কমিশন মনে করছে নির্বাচন নিয়ে মানুষের আস্থার সংকট আছে, আর সেই সংকট কাটাতেই তাদের মনোযোগ দিতে হবে।নির্বাচনের সময়ে মাঠ পর্যায়ে বড় ভূমিকা রাখেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা। তাই, নির্বাচন নিয়ে এই সংকট কাটাতে আগামী শনিবার (৮ অক্টোবর) বৈঠকে ডেকে ডিসি-এসপিদের নানা নির্দেশনা দেবে কমিশন। আর পক্ষপাতী আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুশিয়ারিও ইসির।নির্বাচন কমিশন মো. আলমগীর বলে, প্রার্থীরা যেন নির্ভয়ে তাদের প্রচার প্রচারণা চালাতে পারে, ভোটাররা যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন এবং নির্বাচন পরবর্তী পরিবেশ যেন ভাল থাকে আমরা এই বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করছি। যদি কেউ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে রংপুরসহ দেশের ছয়টি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এর আগে রয়েছে কয়েকটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন। নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রমাণে এ সব ভোটকে গুরুত্ব দিচ্ছে ইসি। নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা সব নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা ইভিএমেও ভোট গ্রহণ করবো আবার সিসি ক্যামেরাও লাগাব। এটা আমাদের ইচ্ছা আছে।কমিশনের দাবি, নিজেদের কাজ দিয়ে আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় ফেরাবে তারা। আস্থার এই সংকট কাটিয়ে ভোটে আসবে সব দল, দূর হবে রাজনৈতিক সংকট- এমন আশা নির্বাচন কমিশনের।