পাঠ্যসূচি থেকে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ রবিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার উদ্যোগে আয়োজিত ‘শান্তি মহা সমাবেশে’ তিনি এ কথা বলেন।আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, গত বছর করোনার কারণে ক্লাস হয়নি। যার কারণে পরীক্ষাও অনেক সংক্ষেপে হয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষাকে বাদ দেওয়া হয়নি।এর আগে, সমাবেশে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষানীতিতে পাঁচটি বিষয়কে বাদ দেওয়া হচ্ছে। ক্লাসে পড়ানো হবে, কিন্তু বোর্ডে পরীক্ষা হবে না। যে পাঁচটি বিষয়কে বাদ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে ধর্ম শিক্ষা।তিনি বলেন, এদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, এ দেশে ইসলামি শিক্ষাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে ধর্ম শিক্ষাকে বোর্ডের পরীক্ষা থেকে বাদ দেবেন না।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যানের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, উনি (সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম) ভুল বুঝেছেন। আমি অনুরোধ করবো, আমাদের পাঠ্যসূচি পড়ুন। ধর্মকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। যারা মিথ্যাচার করে, তারা ইসলামের নামেও মিথ্যাচার করতে চায়।এর আগে, রবিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) জশনে জুলুস করেছে আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া। এরপর সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় শান্তি মহাসমাবেশ। মাইজভান্ডারীয়া দরবার শরীফের মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানীর সভাপতিত্বে এতে দেশ বিদেশের খ্যাতিমান আলেম, ইসলামি চিন্তাবিদ ও গবেষকরা বক্তব্য রাখেন।