জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনে অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হবেন না বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ রবিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, আমাদের কেউ কেউ মনে করছেন, একটি দল নির্বাচনে কারচুপি করে বিজয়ী হয়ে শর্টকাট পদ্ধতিতে তাদের মন্ত্রী-এমপি করবে। এটা যারা মনে করেন, তারা জাতীয় পার্টির জন্য জীবাণু। তাদের জাতীয় পার্টি থেকে চলে যেতে হবে অথবা সংশোধন হতে হবে।তিনি বলেন, আমরা শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়তে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব। প্রয়োজনে অপ্রিয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হব না।জি এম কাদের আরো বলেন, দেশের মানুষ এখনো জাতীয় পার্টির স্বর্ণালি যুগের কথা মনে রেখেছেন। তারা আবার জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চান। দেশে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান কাটাকাটি করে এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা দিয়েছে। নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা এবং বিচার বিভাগের বেশির ভাগই এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে। এটা কখনোই গণতন্ত্র হতে পারে না।তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সঙ্গে নেই। কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, কিন্তু জাতীয় পার্টি কারও দাসত্ব করবে না।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলি, আমরা দেশের মঙ্গলের জন্য রাজনীতি করি। আমাদের রাজনীতি দেখে অনেকেই মনে করছেন, আমরা অন্য কারও সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। আমরা আসলে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করছি। কারও সঙ্গে নাকে খত দিয়ে রাজনীতি করব না। কারও দালালি করতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয়।তিনি বলেন, বড় গাছের ছায়াতলে থাকলে ছোট গাছ বেড়ে উঠতে পারে না। বড় গাছের ছায়াতলে না থাকলে ঝড়ঝঞ্ঝা আসে, তা মোকাবিলা করেই দাঁড়াতে হয়। জাতীয় পার্টি কারও ছায়াতলে যাবে না। তাই ঝড়ঝঞ্ঝা আসবে। আমরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তুলব। তিনি আরো বলেন, কারও ছায়াতলে থেকে, কারও দালালি অথবা চাকর হয়ে রাজনীতি করলে সম্মান পাওয়া যায় না। আমরা সম্মানের জন্য রাজনীতি করছি। টাকার জন্য ব্যবসা করা যায়, ঘুষ খাওয়া যায়, কিন্তু রাজনীতি করা উচিত নয়।জি এম কাদের বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই।তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচনের বিরোধিতা করছি। আমরা মনে করি, ইভিএমে কারচুপির সুযোগ আছে। ইভিএমে কারচুপি করে ফলাফল ঘোষণা করা হলে চ্যালেঞ্জ করা যায় না।মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ ও সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন।