বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৩৩ বার পড়া হয়েছে /

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়েছে।মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আইনজীবী ফরিদুল আলম। এর আগে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য প্রথম দিনে মামলার বাদীসহ মোট সাতজনকে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে উপস্থিত থাকতে নোটিস দেওয়া হয়।ফরিদুল আলম জানান, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের ধার্য দিন ছিল মঙ্গলবার। সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৪ আসামিকে আদালতে আনা হয়। কিন্তু দুপুর ২টা পর্যন্ত বাদীসহ নোটিসপ্রাপ্ত সাতজনের কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হননি। এতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে পরবর্তী দিন ধার্য করবেন।রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালনকারী আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে মুখোশধারীদের গুলিতে নিহত হন। তার এ মৃত্যুর ঘটনা দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।মামলার নথির বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, হত্যাকাণ্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।সাতজনের নাম-ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ও ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে।আদালত শুনানি শেষে ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন। ওই দিন আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।বর্তমানে মুহিবুল্লাহর পরিবারের ২৫ সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার সহায়তায়।তবে মামলার বাদী মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বর্তমানে কড়া নিরাপত্তায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD