যেই ট্রলার নিয়ে ইলিশ রক্ষা অভিযানে যান অভিযান শেষে সেই ট্রলারই আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতিমা। জব্দকৃত মাছ সরিয়ে রাখা এবং মাঝি কথা না শোনায় ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া নির্দেশ দেন তিনি।গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলায় সুগন্ধা নদীর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল ও সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।অগ্নিসংযোগের পর পুড়ে যাওয়া ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে বর্তমানে বাহেরচর নামক স্থানের নদীতে রয়েছে।ট্রলারটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মালেক। তবে ইউএনও নুসরাত ফাতিমার মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, মাঝি আনোয়ার হোসেনকে তার ট্রলারসহ অভিযানে নিয়ে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযান শেষে ঘাটে ভেরার পরে জব্দ জাল পোড়ান তিনি। শেষে ট্রলারের মাঝি জব্দকৃত মাছ সরিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগের কথা বলেন। কিন্তু ট্রলার তল্লাশি চালিয়ে কোন মাছ পান না তারা।এ সময়ে ইউএনও মাঝিকে কিছু কথা বলেন। এতে ভয় পেয়ে মাঝি পিছন থেকে পালিয়ে যায়। মাঝি পালিয়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযানের আনসার সদস্যদের নির্দেশ দেন ডিজেল দিয়ে ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দিতে।উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক বলেন, অভিযান শেষে ট্রলারের মাঝি জব্দ মাছের কিছু বড় ইলিশ সরিয়ে রাখেন, এটিই ইউএনও’র রাগের কারণ। তাঁর নির্দেশনা ছিল অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও ট্রলার ভিড়াবে না। মাঝি সেটা করেছে। এ কারণে ইউএনও আইনগতভাবেই আগুন ধরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কারণ অভিযানে তাঁর কথার বাইরে কাজ হলে ম্যাজিস্ট্রেসি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ আব্দুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে আমরা নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং আগুন নেভাই। তবে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাবার আগেই ট্রলারটির প্রায় সব পুড়ে গেছে।