বাংলাদেশের কাছ থেকে ধার নেওয়া ২০০ কোটি ডলার আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ফেরত দেওয়া শুরু করবে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সাথে বৈঠকের সময় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল বীরা সিংহে এ কথা জানিয়েছেন।গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বোর্ড অব গভর্নরসের সভার বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর শ্রীলঙ্কার সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল বীরসিংহের সাথে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, সোয়াপ অ্যারেঞ্জমেন্টের আওতায় তিন দফায় শ্রীলঙ্কাকে ২০০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শ্রীলঙ্কা তাদের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তা সময়মতো ফেরত দিতে পারেনি। এ কারণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার মেয়াদ দুই দফা বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এ অর্থ তিন কিস্তিতে ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।এদিকে, দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়েছে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে ভারতসহ আরো কয়েকটি দেশ।গভর্নর জানান, আইএমএফের ঋণ ছাড় হলেই বাংলাদেশের অর্থ ফেরত দিতে শুরু করবে দেশটি।তিনি আরো জানান, আইএমএফ থেকে শ্রীলঙ্কা একটি প্রোগ্রামে যাচ্ছে, সেটি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। তারা হয়তো নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে একটি চুক্তিতে যাবে।উল্লেখ্য, ২০২১ সালে চরম সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে তিন দফায় শ্রীলঙ্কাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হয়। মুদ্রাবিনিময় নীতি মেনে ঋণ পরিশোধের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু দেউলিয়া ঘোষণার পর শ্রীলঙ্কা থেকে ঋণের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।