ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ ধরা, বহন ও কেনা-বেচা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।এসময় জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে ও সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান সোহেলের উদ্যোগে পদ্মা নদী সংলগ্ন ইউনিয়নগুলোর জেলেপাড়ায় রাতে বাউলগানের আসর বসানো হচ্ছে।এসব বাউলগানের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন ইউএনও কামরুল।এ বিষয়ে কামরুল বলেন, আমরা সারাদিনই পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান চালাচ্ছি। জেলেদের তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। তবুও কিছু অসাধু জেলে নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। ওইসব জেলেদের আটক করে জেল-জরিমানা করছি।তিনি আরো বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় এবার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছি। রাতে জেলেদের নিয়ে বাউলগানের আসরের আয়োজন করা হয়েছে। জেলেদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার বলেন, আমরা মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। ৭ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় ২৯টি মোবাইল কোর্ট ও ৭৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪২ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৮২টি মামলা দেওয়া হয়েছে।এছাড়া ইলিশ জব্দ করা হয়েছে এক হাজার ৩৫ কেজি। ৩৩ লাখ ৩৬৯ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৬ লাখ ৩ হাজার টাকা।তিনি আরো বলেন, জেলায় ২৫ হাজার ৫৮ জন নিবন্ধিত জেলে আছেন। এদের মধ্যে ১৯ হাজার জেলেকে ৪৭৫ টন চাল দেওয়া হচ্ছে। প্রতি জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছে।