সংশোধন করা হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির নির্দেশিকা। গতকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশিরভাগ ধারাই সংশোধন করে নতুন আদেশ জারি করেছে।এ আদেশে বদলির শর্তের ৩.৩ ধারা শিথিল করা হয়েছে। এ ধারা অনুসারে পাঁচজনের কম শিক্ষক থাকা বা শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১:৪০ স্কুলগুলোর শিক্ষকরা বদলির আবেদনের সুযোগ পাননি। কিন্তু সংশোধিত নির্দেশিকা অনুসারে এ ধরণের স্কুলগুলো শিক্ষকদের প্রতিস্থাপন বা পদায়ন সাপেক্ষে বদলির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংশোধিত নীতিমালা গতকাল সোমবার (১৭ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ধারা ৩.৩
এই ধারায় পাঁচজনের কম সংখ্যক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আবেদনের সুযোগ পাননি। এছাড়া শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত ১:৪০ শর্তের কারণে পাঁচজনের বেশি শিক্ষক কর্মরত এমন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও বদলির আবেদনে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।সংশোধিত ধারা মতে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৪০ থাকার ধারা শিথিল করে দুই শিফটের বিদ্যালয়ের প্রথম -দ্বিতীয় এবং তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণির মধ্যে যে শিফটে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি, সেই শিফটের শিক্ষার্থী হিসেব করে ১:৪০ নির্ধারণ করা হবে।সংশোধিত নীতিমালা অনুসারে চারজন শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষক বদলি আবেদন করতে পারবেন এবং তা কার্যকর হবে ওই বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক পদায়ন হওয়ার পর অথবা শিক্ষক প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে।এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বদলির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের শর্তও শিথিল করা হয়েছে, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর ঠিকানা, বিধবা বা ডিভোর্সের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশের আওতায় পড়বেন না সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা।বর্তমান সংশোধিত নীতিমালার ফলে বেশিরভাগ শিক্ষক কোনো ঝামেলা ছাড়া বদলি হতে পারবেন। তবে পূর্বের নীতিমালায় থাকা স্বামী-স্ত্রী বেসরকারি চাকরিজীবী হলে বদলির যে সুযোগ ছিল তা সমন্বিত বদলি নীতিমালা বা সংশোধিত নীতিমালায় রাখা হয়নি। এতে কিছু কিছু শিক্ষকের বদলির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।