বরিশালে আজ শনিবার (৫ নভেম্বর) বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশের আগে সড়ক-মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। তারা জনে জনে চালাচ্ছে তল্লাশি। এদিন ধর্মঘট পালন করছে বাস মালিক সমিতি। থ্রি-হুইলারচালক এবং ছোট লঞ্চ ও স্পিডবোট শ্রমিকদের ধর্মঘটও চলছে। এক কথায় দেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বরিশাল। এরপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) থেকেই বিভিন্ন উপায়ে বরিশালে পৌঁছেছেন।এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে বিভাগীয় সমাবেশ করে বিএনপি। এসব সমাবেশের আগেও সড়ক-মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছিল পুলিশ। সেসময়েও ধর্মঘট করছে বাস মালিক সমিতি। বরিশালে অতিরিক্ত যোগ হয়েছে থ্রি-হুইলার চালক এবং ছোট লঞ্চ ও স্পিডবোট শ্রমিকদের ধর্মঘট। এদিকে গণপরিবহন সংকটে বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোর সাধারণ মানুষেরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।তবে স্থানীয় ও দলীয় সূত্র বলেছে, বাস, থ্রি হুইলার, ছোট লঞ্চ এবং যাত্রীবাহী স্পিডবোর্ড শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের কারণে গতকাল শুক্রবার দিনভর নদীপথে ট্রলারে করে বরিশালে এসেছেন হাজারো নেতাকর্মী। এরইমধ্যে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণ, সড়ক সজ্জাসহ সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে বিএনপি।বরিশালের স্থানীয় সূত্র বলেছে, সড়ক-মহাসড়কের পাশাপাশি বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোয় দুদিন ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতঙ্কে তাই গত বৃহস্পতিবার রাতটা বিএনপির অনেক নেতাকর্মী পার করছেন সভামঞ্চের সামনের ময়দানেই।এদিকে গতকাল সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় বরিশাল লঞ্চঘাট সংলগ্ন খেয়াঘাট, চরমোনাই, চাঁদমারী খেয়াঘাটসহ বরিশাল নগরীতে প্রবেশের সব খেয়া পারাপারের ট্রলার ও নৌকা। তবে সংশ্লিষ্ট কেউ ট্রলার চলাচল বন্ধের কারণ জানাতে পারেননি।