বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৫ অপরাহ্ন

এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক বিতর্কে তদন্ত কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৫৬ বার পড়া হয়েছে /

চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ ওঠেছে। প্রশ্নপত্রে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করার কথা জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, কীভাবে এবং কারা এই প্রশ্ন করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো আহসান হাবীব ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কমিটির সদস্যদের আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।এর আগে অভিযুক্ত শিক্ষকদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বোর্ড থেকে জানা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রণীত হয়েছে। প্রশ্ন প্রণয়নকারী ঝিনাইদহের মহেশপুরের একটি কলেজের একজন শিক্ষক। আর চার মডারেটরের মধ্যে দুজন নড়াইলের দুটি কলেজের এবং বাকি দুজনের একজন সাতক্ষীরার একটি কলেজের এবং আরেকজন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার একটি কলেজের শিক্ষক।শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ঢাকায় একটি অনুষ্ঠান শেষে বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যদি এমন কিছু থাকে যা সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিতে পারে, তা দুর্ভাগ্যজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।দীপু মনি বলেন, যারা প্রশ্ন সেট করেছে এবং মডারেট করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গত রবিবার (৬ নভেম্বর) বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়ে সারা দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের সৃজনশীল অংশে একটি প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ ওঠে।প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নে সনাতন ধর্মের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের বিষয় তুলে ধরা হয়।প্রশ্নে দেখানো হয়, নেপাল ও গোপাল নামের দুই ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই নেপাল তার বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামের একজনের কাছে একাংশ জমি বিক্রি করে দেন। আব্দুল সেই জমিতে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং কোরবানির ঈদে সেখানে গরু কোরবানি দেন। এতে জমি বিক্রেতা ভাইয়ের মন ভেঙে যায়, তিনি জমি-জমা সব ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যান।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, বিষয়টিতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি রয়েছে। যারা শিক্ষাক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া উচিত।’

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD