আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গঠিত ২৫ জনের চিকিৎসক দলের কাছে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী চিকিৎসা নিয়েছেন।শুক্রবার (১১ নভেম্বর) এ কথা জানান যুব মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. সৈকত রায়।ডা. সৈকত রায় জানান, মেডিকেল টিমে ২৫ জন চিকিত্সক, ১০ জন নার্স ও পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন।তিনি জানান, আগত অনেকজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এতে দেখা যায় আট থেকে দশজনের হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল। হেঁটে আসতে গিয়ে ১৫-২০ জন কর্মী পায়ে আঘাত পান। এছাড়া ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী সাধারণ আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের একজনের মৃত্যু হয়।ডা. সৈকত রায় জানান, সকাল ৯টা থেকে সমাবেশ কেন্দ্রে আসা নেতাকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তা চলে সন্ধ্যায় সমাবেশ শেষ হওয়া পর্যন্ত।তিনি বলেন, ডিহাইড্রেশন, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা ও অ্যাসিডিটির সমস্যার জন্য অনেক কর্মী মেডিকেল ক্যাম্পে সহায়তা চান।তিনি বলেন, আগের দুই দিনের ঘুমের অভাব ও এর ফলে ক্লান্তি এই সমস্যার প্রধান কারণ।বরিশাল থেকে আসা সমাবেশে অংশগ্রহণকারী রফিক রায়হান বলেন, অনুষ্ঠানের চাপের কারণে আগের দুই দিন তিনি ঘুমাতে বা গোসল করতে পারেননি।তিনি বলেন, “আজ নামাজ পড়ার পর আমি একটু অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ বোধ করি।মেডিকেল টিমের নেতৃত্বে ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফরিদ রায়হান, মেডিকেল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মফিজুল হক জুম্মন।