এশিয়ার ফুটবলের বড় শক্তি দক্ষিণ কোরিয়া। কোনভাবেই দলটিকে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। বিশেষ করে যখন এশিয়ার মাটিতে খেলা হয়। এবার প্রথমবারের মতো কাতারের মাটিতে বসতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। ক্লাব ফুটবল চলাকালীন সময়ে আসরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে অনেক খেলোয়াড়ই ইনজুরিতে পড়েছেন। তাদের কেউ কেউ আবার ফিরেও এসেছেন। তাদেরই একজন সন হিউং মিন। দক্ষিণ কোরিয়ার ভরসার কেন্দ্রে রয়েছেন তিনি। পড়েছিলেন ইনজুরিতে। চোট সারাতে বাঁ-চোখে অস্ত্রোপচারের পর কাতার বিশ্বকাপে মিনের খেলা নিয়ে জেগেছিল শঙ্কা। অনেকটা মনের জোরে সেটা কাটাতেও পেরেছেন।বলা যায়, সংশয়ের সেই মেঘ অনেকটা কেটে গেলেও গ্রুপ পর্বে কোরিয়ার সব ম্যাচে তার খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইংলিশ ক্লাব টটেনহাম হটস্পায়ার ফরোয়ার্ড নিজে অবশ্য কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে হলেও খেলতে প্রস্তুত। ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি দক্ষিণ কোরিয়া অধিনায়ক। সে কারণেই বিশ্বকাপে প্রতিরক্ষামূলক মুখোশ পরে খেলবেন সন, যাতে করে নতুন করে কোন ইনজুরিতে না পড়েন। দোহায় জাতীয় দলের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার পর নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে এশিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা জানালেন, ‘আমি আসলে চিকিৎসক নই। তাই কখন খেলতে পারব তা বলা আমার পক্ষে কঠিন। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব। তবে এখনই বলা কঠিন যে, আমি প্রতিটি ম্যাচ খেলব’।ফুটবলাররা সবসময় এ ধরনের ঝুঁকির মধ্যেই লড়াই করে চলতে হয়। সন সমর্থকদের আনন্দ দিতে ও ভরসা জোগাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ জন্য তিনি ঝুঁকি নিতেও রাজি। ২৪ নভেম্বর উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান। সে কারণে ঝুঁকি নিয়ে খেলবেন সন। এবারের বিশ্বকাপে কোরিয়ার জার্সি গায়ে খেলার সম্ভাবনা কমে এসেছিল। কিন্তু বিশ্বকাপ খেলার তাড়নায় অস্ত্রোপচার করে নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়েছেন। যদিও শঙ্কা রয়ে গেছে সন হিউং মিনের খেলার। তবে প্রিয় দেশের সমর্থকদের মনে হাসি ফোটাতে ঝুঁকি নিয়েই খেলবেন। বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল দল এখন দোহায়। নিয়মিতই অনুশীলন করছে এশিয়ান পরাশক্তিরা। নিজেদরকে ঝালিয়ে নিতে সম্ভব সবকিছুই করছেন।আসর শুরুর আগে অনুশীলনের ফাঁকে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে সন বলেন, ‘ফুটবলই আমার ধ্যান জ্ঞান। ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি আছি।’ সন আহত হয়েছিলেন চলতি মাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মার্সেইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে। টটেনহ্যাম ম্যাচটি জিতেছিল। জয়ের ম্যাচে প্রথমার্ধে বাঁ-চোখে আঘাত পান তিনি। কোরিয়ান অধিনায়ক খেলার কথা ভাবলেও ফিটনেসের বিষয় রয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ না হলে অবশ্য তার মাঠে নামাটা বেশ কঠিন। তবুও নিজের সেরাটা মেলে ধরার অপেক্ষায় রয়েছেন সন ও তার দেশ।