সাভারে আল-আমীন (১৫) নামের এক কিশোরকে প্রায় চার মাস আগে নৃশংশ ভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিন জনকে আটক করে সাভার থানা পুলিশ। এদের মধ্যে একজনের জন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিও নেয়া হয়েছে। বাকি দুই জনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদরুজ্জামান। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর তাদের গ্রেপ্তার করে গতকাল ১৭ নভেম্বর আদালতে পাঠানো হলে তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালতে তোলা হয়।গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সাভারের কালিয়াকৈর থানার বিরুলিয়া গ্রামের আমির উল্লাহর ছেলে নুর হোসেন (২১), অপর দুই আসামী সাভার রাজাশন আমতলা এলাকার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে মিলন (২০) ও তার ভাই ইসমাইল হোসেন (২২)।নিহত আল-আমিন ফরিদপুর জেলার আজমল হোসেনের ছেলে। বেডিং এর দোকানে চাকরি করা অবস্থায় আল আমীন ও নুর হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডা হওয়ায় দুই জনকেই চাকরিচ্যুত করা হয়। এর পর আল আমীন একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করা শুরু করে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আল আমীন ও নুর হোসেন সাভারের সিটি সেন্টারের নিচ তলায় চায়না বেডিং নামের একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানে তাদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায় গত ৭ জুলাই রাত ১১ টার দিকে নুর হোসেন ও তার দুই সহযোগী মিলন (২১) ও ইসমাইল (১৯) মিলে আল আমীনকে সাভারের বাজার রোডে ছুরি দিতে আঘাত করে পালিয়ে পায়। এঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চার মাস পর অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদরুজ্জামান বলেন, চার মাস আগে এই ঘটনা ঘটে। তবে কোন ধরনের ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেখানে এক কিশোর দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। এই ফুটেজের সূত্র ধরে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে প্রধান আসামি নুর হোসেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট রাবেয়া বেগমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়। বাকি দুই জনের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।