চলতি বছর সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পরীক্ষামূলকভাবে আধানিবিড় (সেমি ইনটেনসিভ) পদ্ধতিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছেন চিংড়ি চাষিরা। সাধারণ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে যে উৎপাদন হয়, তার চেয়ে প্রায় ৫০ গুণ বেশি চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে ওই পদ্ধতিতে। গতানুগতিক চাষ বাদ দিয়ে এ পদ্ধতিতে তুলনামূলক সাফল্য পেতে শুরু করেছে মৎস্য চাষিরা।খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জেলার উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনির আনুলিয়ায় সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হোসেনসহ শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ গ্রামের ২৫ মৎস্য চাষি আধানিবিড় পদ্ধতিতে চাষ করে সফল হয়েছেন। একটি প্রকল্পের মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে এ চাষে মনোনিবেশ করেন তারা।মৎস্য চাষিরা জানান, এ পদ্ধতিতে একটি ৩ বিঘা মৎস্য ঘেরে প্রায় ৩২ হাজার চিংড়ি পোনা ছাড়া যায়। যা প্রায় ৪ মাসের মাথায় মাছ বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন হয়েছে পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ। সনাতন পদ্ধতিতে যেখানে হেক্টরপ্রতি ৩০০-৫০০ কেজি চিংড়ি উৎপাদন হতো, সেখানে আধানিবিড় পদ্ধতিতে উৎপাদন পাঁচ হাজার কেজি ছাড়িয়ে যায়।সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হোসেন জানান, নিজের ২৩ শতক জমিতে মাছ চাষ শুরু করেন। তার পুকুরে জীবাণুমুক্ত করে ২৫ হাজার রেণুপনা ছেড়ে দেন। মাত্র ৪ মাস ১০ দিন লালন-পালন করে ২৫ মণ মাছ উৎপাদন করেন। তিনি বলেন, আমার খরচ হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা আর মাছ বিক্রি করে ৭ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে আমি আশা করছি।সাতক্ষীরা জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, সাতক্ষীরা জেলায় ৫৯০৫৪ হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়েছে। এ বছর ২৫০০২ টন বাগদা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২৪৫৭১ টন।