সমুদ্র অর্থনীতির সর্বোত্তম সুবিধা কাজে লাগানোর জন্য ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর মধ্যে একটি আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক প্রক্রিয়া গড়ে তোলা প্রয়োজন। এর বাস্তবায়ন যত দ্রুত সময়ে করা যায় ততোই ভালো।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল রবিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকায় একটি হোটেলে ইন্ডিয়া ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) বিজনেস ফোরাম লিডারশিপ সামিটে বক্তব্য প্রদানের সময় এ কথা বলেন।এ শীর্ষ সম্মেলনটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন বাংলাদেশ আইওআরএ-এর বর্তমান সভাপতি হিসেবে আগামী ২৪ নভেম্বর ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য টেকসইভাবে ভারত মহাসাগরের সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের (সিওএম) ২২তম সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে।ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, সমুদ্র অর্থনীতির আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গিকে অবশ্যই উন্নয়নের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উপাদানগুলোর সুষম একীভূতকরণের মাধ্যমে সমর্থন করতে হবে।তিনি বলেন, ঢাকা সমুদ্র অর্থনীতিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে।তিনি আরো বলেন, ভারত মহাসাগরে অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ মাছ ধরার কারণে মাছের মজুদ হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থল পরিবর্তন হওয়ার ফলে প্রবাল প্রাচীর ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।মন্ত্রী বলেন, এ অঞ্চলের বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সেগুলো মোকাবিলার পদ্ধতি চিহ্নিত করা এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার জন্য নতুন কাঠামো তৈরি করার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবী এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একটি টেকসই সংলাপের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রেক্ষিতে পানির অপব্যবহার সম্পর্কে গবেষণা করে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উদাহরণস্বরূপ গত ২০ বছরে ভারত মহাসাগরের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।তিনি আরো বলেন, আইওআরএ টেকসই সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে ভারত মহাসাগর এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে এবং এখন এ অঞ্চলে উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য একটি মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
সূত্র: বাসস