সাভারের আশুলিয়ায় একটি ফার্নিচারের শো-রুম থেকে মেহেদী হাসান (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী অপহরনের ৫ দিনের মাথায় উদ্ধার করে দোষীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আজ রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের প্রীজনভ্যানে করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে (২২ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে আশুলিয়ার উত্তর গাজিরচটের বগাবাড়া এলাকার নাম্বার ওয়ান স্মার্ট ফার্ণিচারের দোকান থেকে তাকে সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।অপহরণের শিকার মেহেদী হাসান মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার পশ্চিম কলিয়া গ্রামের পান্নু মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ার শিমুলতলা এলাকায় ভাড়া থেকে ফার্ণিচারের ব্যবসা করে আসছিলেন।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন যশোর জেলার মনিরামপুর থানার কেরতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল সাত্তার গাজীর ছেলে কেরামুন হোসেন সম্রাট (৩৪), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার ধাউরা নয়াপাড়ার মৃত হাজী খবীর উদ্দীনের ছেলে আঃ আউয়াল (৫০) (মাইক্রোবাসের চালক), একই থানার আন্দুরার মৃত আঃ রশিদের ছেলে মোঃ বাবুল মিয়া(৫০), পেকুরা গ্রামের নজমত আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম(৫১) ও তার স্ত্রী খাদিজা (৩৮)। এছাড়া একই জেলার বাসাইল থানার দাপনাজোর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়া(৩৮)।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসান আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের উত্তর গাজীরচট এলাকার মনির মন্ডল এর বাড়ির নিচতলা ভাড়া নিয়ে ফার্নিচারের দোকান করেন। প্রতিদিনের মত গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেন। পরে রাত ৮ টার দিকে গ্রেপ্তাররা একটি সাদা রংয়ের হায়েস মাইক্রোবাস (গাজীপুর-চ-১১-০০১৯) নিয়ে ফার্ণিচারের শোরুমের সামনে দাঁড়ান। পরে ৪/৫ জন শোরুমের ভিতরে প্রবেশ করে মেহেদীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এর পর তাকে খোঁজাখুঁজি করা হলে ফোন করে মেহেদী জানায় তাকে অজ্ঞাতনামা কয়েক জন আটকে রেখেছে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে টাঙ্গাইল থেকে তাকে উদ্ধার করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন কবির জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অপহৃতকে উদ্ধার করে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।