কিশোরগঞ্জের নিকলীতে এক বাকপ্রতিবন্ধী গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।উল্লেখ্য,চার বছর পূর্বে নিকলী উপজেলা জারইতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ জালালাবাদ গ্রামের জমিরউদ্দিনের সৌদি প্রবাসী পুত্র আল মামুনের (২৮) এর সাথে একই এলাকার মোঃ দুলাল মিয়ার বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে তামান্না আক্তারকে (২৪) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করা হয়।তবে বিয়ের কিছু দিন না যেতেই যৌতুকের টাকা জন্য বাকপ্রতিবন্ধী তামান্নাকে শিকার হতে হয় শশুর বাড়ির অমানবিক নির্যাতনের।পরিস্থিতি দিনের পর দিন খারাপের দিকে যেতে থাকায় ভুক্তভোগীর বাবা দুলাল মিয়া এ বছরের ৩১ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তামান্নার স্বামী আল মামুন ও শ্বশুর জমির উদ্দিনসহ কয়েক জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।এ বিষয়ে দুলাল মিয়া জানান, আমার মেয়ে বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ার সুযোগ নিয়ে আল মামুন সহ তার বাড়ির সবাই বিভিন্নভাবে তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে যাচ্ছে। তাদের দাবি যৌতুক হিসেবে মোটা অংকের টাকা। এছাড়াও আমার মেয়ের বাকপ্রতিবন্ধকতা নিয়ে তাকে কথায় কথায় বিভিন্ন কটূ কথা শুনতে হয়। যার কারণে তামান্না দিন দিন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, তামান্নাকে তার স্বামী প্রায় প্রতিদিনই মারধরসহ গালিগালাজ এবং তার বাকশক্তিহীনতা নিয়ে আজেবাজে কথা বলে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা না এনে দিলে তাকে আরও মারধর করা হবে বলেও হুমকিধামকি দেয়া হয়। নির্যাতন অসহনীয় মাত্রায় চলে যাওয়ায় বাক প্রতিবন্ধী তামান্না তাদেরকে লিখে এবং ইশারা ইঙ্গিতে নির্যাতনের বিষয়ে জানায়। এছাড়াও মারধরের জখম দেখিয়ে নির্যাতনের বিষয় নিশ্চিত করেন।এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা দুই পরিবারকে সালিসি বিচারের মাধ্যমে সব বিষয়ে মীমাংসা করতে বসে।কথাবার্তার একপর্যায়ে তামান্নার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাড়ির মানুষের উপর চড়াও হয়ে ওঠে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ধস্তাধস্তিও হয় সেখানে।ধস্তাধস্তির ঘটনায় তামান্নার পরিবার নিকলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন নিকলী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী আরিফ।