দেশের ৫০ জেলায় ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব মহাসড়ক উদ্বোধন করা হয়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী সড়কসহ যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলো বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে এদেশের মানুষকে নিয়ে তা পুর্নগঠন করেন। এরপরে তাকে হত্যা করা হয়।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ দশ বছরে সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত হত। আজ সিঙ্গাপুরের কথা বলা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করা হলে বাংলাদেশ বিশ্বে হত উন্নয়নের উদাহরণ।শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পরবর্তী মিশন ২০৪০ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন। এ মিশন সফল হবে না যদি রাস্তা ও পরিবহনে শৃঙ্খলা না থাকে। আমাদের রাস্তাগুলোকে রক্ষা করতে হবে। খুলনা-যশোর সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এ রকম সড়ক স্মার্ট বাংলাদেশের অন্তরায়।সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৫০টি জেলায় এসব সড়ক নির্মাণে ১৪ হাজার ৮২৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। এ কাজে বেশির ভাগ অর্থের জোগান দিয়েছে সরকার।দুই হাজার কিলোমিটার সড়কের মধ্যে সবচেয়ে বড় সড়কটি সাউথ এশিয়ান সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) কর্মসূচির আওতায় নির্মিত হয়েছে। এটি জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। সবচেয়ে ছোট ইজতেমা সড়কের দৈর্ঘ্য ১.৩ কিলোমিটার। উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা সবচেয়ে বেশি সড়ক আছে ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। এর মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে কোনো সড়ক নেই।তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০০ সড়কের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সড়ক হয়েছে ৩২, ময়মনসিংহে ৬, চট্টগ্রামে ১৫, সিলেটে ৪, খুলনায় ১৬, রাজশাহীতে ৮, রংপুরে ১৫ ও বরিশালে চারটি। মোট সড়কের মধ্যে জাতীয় সড়কে যুক্ত হচ্ছে ২০৬.৫৪ কিলোমিটার নতুন সড়ক। আর আঞ্চলিকে ৬২১.৬৮ কিলোমিটার ও জেলা সড়কে এক হাজার ১৯৩.৩৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মিত হয়েছে।সওজের অধীনে বর্তমানে দেশে ২২ হাজার ৪৭৬ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক আছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ৮০০টি কালভার্ট ও সাড়ে চার হাজার সেতু আছে। এই সড়ক নেটওয়ার্কে তিন হাজার ৯৯১ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, চার হাজার ৮৯৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক ও ১৩ হাজার ৫৮৮ কিলোমিটার জেলা সড়ক আছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরো দুই হাজার কিলোমিটার সড়ক।এর আগে, গত ৭ নভেম্বর দেশের ২৫টি জেলায় নির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।