কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় হোটেল রিসোর্টের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বলে জানা যায়।কিশোরগঞ্জের নিকলীসহ অষ্ট্রগ্রাম ও মিটামইনে পর্যটকদের জন্য গড়ে ওঠা হোটেল-মোটেলে সরকার পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করলেও শুধু বর্ষা মৌসুমেই পর্ষটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে এখানে। তখন পর্যটকরা বিশাল জলরাশির দৃশ্য অবলোকনের জন্য পরিবার পরিজন ও সঙ্গী সাথীদের নিয়ে এখানে বেড়াতে আসেন। ওই সব পর্যটকের জন্য এখানে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল। দেখা যায়, পর্যটকদের জন্য নিকলীতে গড়ে উঠেছে ব্যক্তিগত হোটেল প্যারাডাইস, আলম রিসোর্ট, আল আরাবিয়া, চেয়ারম্যান গেস্ট হাউজ, হোটেল সুয়াইব্যা, ড্রিম টাচ, শাহজাহান গবেষক হাউজসহ ছোট পরিসরে আরো কয়েকটি আকর্ষণীয় আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁ। এ ছাড়া পর্যটকদের উদ্দেশ্যে সাম্প্রতিক তৈরি করা হয়েছে জেলা পরিষদের নবনির্মিত ডাকবাংলো। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, নিকলীর আবাসিক হোটেলগুলোয় এখন কোনো পর্যটক নেই। কিন্তু নিকলী প্রভাবশালী একটি চক্র হোটেল রিসোর্টের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার জন্য মিথ্যা পায়তারা করছে বলে হোটেল মালিকরা দাবি করেন।গত ২৭ ডিসেম্বর নিকলী উপজেলা শেখ ওবায়েদুল হক সম্রাট উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় মিথ্যা হয়রানির করার জন্য আলম রিসোর্টকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার কারণে এখানকার সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হতে চলেছে। অচিরেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন। তার এ বক্তব্যের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শাকিলা পারভীন,উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, নিকলী থানা পুলিশের প্রতিনিধি হিসেবে এসআই ইকবাল ও সাংবাদিকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।আলম রিসোর্টে মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিকলীতে পর্যটকদের সুবিধার্থে নিজের এলাকা হওয়ায় একটি আবাসিক হোটেল করেছি। আমার হোটেলে কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ চলে না, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট আমাকে মিথ্যা হয়রানির করার জন্য একটি অপসাংবাদিকতার চক্র ও শেখ ওবায়েদুল হক আমার চাচাতো ভাই ষড়যন্ত্র করছে । তার নিজের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি ৪ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির মামলা থানায় রয়েছে ।এ ছাড়া স্থানীয় নিকলী পুকুরপাড় জামে মসজিদে নতুন কমিটি গঠন করা নিয়ে আমি ওবায়েদুল হকের বিরোধিতা করি। সে কারণে আমার প্রতি ক্রুদ্ধ হয় সে। এই নিয়ে হোটেল প্যারাডাইজে কর্মরত ম্যানেজার বলেন, দুই মাস আগে হোটেলে সিট বুক করতে এসে ফরম পূরণের ঝামেলায় জড়িয়েছিল দু’জন। তাদেরকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাসিয়ে থানার পুলিশ ধরে নিয়ে রায়।নিকলী থানা সদরের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যান গেস্ট হাউজের মালিক শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ জানান, বিষয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট, তবে আমার হোটলে কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ চলে না বলে উল্লেখ করেন।নিকলী থানার ওসি মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ, জানান, শেখ ওবায়েদুল হক সম্রাট আলম রিসোর্টের মালিক জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই। জাহাঙ্গীর আলম নিজেই ওবায়েদুল হক সম্পর্কে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেছেন। এ ব্যাপারে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: শাকিলা পারভীন বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আমরা যারা দায়িত্বে আছি, সবাইকেই এসব বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।