নির্বাচন নিয়ে শুধু মিডিয়ার মাথা ব্যথা রয়েছে, এটা নিয়ে অন্যদের মাথা ব্যথা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘এলডিসি হতে উত্তরণে বাংলাদেশের কৃষি: অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনে কালোটাকার ছড়াছড়ি নিয়ে সতর্ক দুদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নির্বাচন বহুদিন পরে। এটা নিয়ে অন্যদের মাথাব্যথা নেই। আপনারা (গণমাধ্যম) বলেন। আগামী নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য; এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ অনেক পরিপক্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা খুব লজ্জার যে, নির্বাচনের সময় আমাদের দেশে সংঘাত হয়। আমরা আশা করি আগামীতে এমনটা আর হবে না। আমরা যথেষ্ট পরিপক্ব। পরিপক্বতার একটা বড় নমুনা হবে সংঘাত এড়িয়ে চলা। বিভিন্ন দল যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাদের আন্তরিকতার ওপর। সেই দলগুলো যদি আন্তরিক হয় তাহলে কোনো মারামারি হয় না।
এদিকে আগামীকাল বুধবার (১ মার্চ) জি-টোয়েন্টি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতের নয়াদিল্লিতে যাবেন মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আমাদের দাওয়াত দিয়েছে। আমরা জি-২০ সদস্য নয়। তারা (ভারত) জানতে চেয়েছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী। তারা (ভারত) জি-২০ তে নিজেদের ভাবনাগুলো তুলে ধরতে চাচ্ছে। আমরা সাজেশন দেব। আমাদের অনেকগুলো সাজেশন আছে। ভারত এগুলো জি-২০তে বলতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এসডিজি অর্জনের জন্য মিউচুয়াল ইমপ্লিমেন্ট খুব দুর্বল। আমরা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য বলতে পারি। যুদ্ধ হলে মানুষের ক্ষতি হয়, বিশেষ করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর। আমরা অনেকগুলো প্রস্তাব দেব। ভারত কোনগুলো গ্রহণ করবে আমরা জানি না। আমরা চাই, উন্নয়নটা হবে শান্তির এবং স্থিতিশীলতার; উসকানিমূলক পরিবেশ নয়।
সম্মেলনের ফাঁকে ভারত, ফ্রান্স, সুইডেনসহ কয়েকটি দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. মোমেন। এ প্রসঙ্গে মোমেন জানান, চার থেকে পাঁচজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হবে, ফ্রান্স ও সুইডেনের সঙ্গেও আছে।
জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে কোন বিষয় বিষয়গুলো আলোচনায় থাকছে- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে ভারত যাবেন। আর আমরা ভারতের সঙ্গে সব সময় সুযোগ পেলে দ্বিপাক্ষিক অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে আলোচনা করি। অনেকগুলো সমাধান হয়ে গেছে, অনেকগুলো সমাধান হচ্ছে। ভারতের ডেমোক্রেসি ভেরি স্ট্রং, সেজন্য আমরা গিয়ে যখনই সুযোগ পাই পুশ করি।