নারীদের স্বাধীনতা নিয়ে, নারী মুক্তি নিয়ে শুধু নারী দিবসেই নয়, বছরজুড়ে নানান আলোচনায় উঠে আসে।
কিন্তু আদৌ কী নারীরা সত্যিকার অর্থে এই দেশে স্বাধীনতা পেয়েছে? হ্যাঁ, এটা সত্যি আগের চেয়ে নারীদের জীবনে পরিবর্তন এসেছে। সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীরা চাকরি করছে। নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু শতকরা হিসেবে সেটা কতটুকু?
এখনো কোনো নারী বিধবা হলে সে কী তার বাবা মায়ের কাছে ফিরে যেতে পারে? শ্বশুরবাড়ির লোকজন কী আপন ভেবে নিজেদের কাছে নিজের মেয়ের মতো করে কিংবা বোনের মতো করে রেখে দিতে পারেন? পারেন না। সে ক্ষেত্রে একজন নারীর জীবন অনিশ্চয়তার দিকে চলে যায়। কখনো কখনো সেই নারী আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে বাধ্য হন। যদি তাই হয় তাহলে আদৌ কী নারী স্বাধীন হতে পেরেছে?
এখনো আমাদের দেশে বলা যায় প্রায় সময়ই ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। অধিকাংশেরই কোনো বিচার হচ্ছে না। তাতে অপরাধীরা আরো অপরাধ করার সাহস পেয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থা থেকে আমাদের দ্রুত উত্তরণ ঘটাতে হবে। নারীরাও দেশের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে।
নারীদের কিছু কিছু ব্যতিক্রম সফলতা বা সাহসিকতাই সামগ্রিক চিত্র নয়। আমি মনে করি নারীদের সাহসিকতার সঙ্গে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। তাতে রাস্ট্র যেন তাকে পূর্ণ সহযোগিতা করে। তাতেই নারী মুক্তি মিলবে, নারী স্বাধীনতা মিলবে।