রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় জনসভায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছেন। এরপর ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং পাঁচটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
মহাসমাবেশে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১টা ১৩ মিনিটে রংপুরে পৌঁছেন। তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাস হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে সার্কিট হাউসে যান তিনি। সেখানে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জনসমাবেশে যোগ দেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের মধ্য দুপুরে মহাসমাবেশ শুরু হয়। এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ করার মধ্য দিয়ে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।
স্থানীয় নেতাদের পর বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সুজিত রায় নন্দী রক্তব্য দেন। পরে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বক্তব্য দেবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে বিভিন্ন জেলা থেকে রংপুর শহরে এসেছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ট্রেন থেকে নেমে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থল রংপুর জিলা স্কুল মাঠের দিকে যান নেতাকর্মীরা।
রংপুরসহ পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে এসেছেন। সকাল থেকেই সমাবেশস্থল রংপুর জিলা স্কুল মাঠের সামনে নেতাকর্মীরা সমবেত হন তারা।
সাড়ে ৪ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর রংপুরের জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবাইকে তল্লাশি করে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হবে। কড়া নজরদারিতে রয়েছে এসএসএফ।
এছাড়া মঞ্চের পেছনে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পুরো নগরীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।