শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নেত্রকোণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আশুলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৭৭টি গাছের চারা রোপণ অটিজম শিক্ষার্থীদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে অংশ নিতে নিউইয়র্ক গেলেন মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু সাভারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ব্যাংকার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রকল্প হস্তান্তর: গ্রাহকদের প্রশংসায় ভাসল ‘রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট’ আশুলিয়ায় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে হাফিজ নাজনীন ফাউন্ডেশন আ.লীগের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ সন্ত্রাসীদের মতো: ফখরুল

দুই স্ত্রীর তথ্য লুকিয়ে চিকিৎসককে বিয়ের অভিযোগ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ৪২ বার পড়া হয়েছে / ইপেপার / প্রিন্ট ইপেপার / প্রিন্ট

দুই স্ত্রীর তথ্য লুকিয়ে এক চিকিৎসককে বিয়ের অভিযোগ উঠেছে মো. আহসান হাবীব নামে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। এমনকি তৃতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে স্বীকৃতি দেননি বলেও অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক। এর আগেও অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বর্তমা‌নে তি‌নি নোয়াখা‌লি‌তে কর্মরত র‌য়ে‌ছেন।

এ ঘটনায় গত ১০ আগস্ট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ওই প্রকৌশলীর মা চিকিৎসার জন্য পাবনা মেডিকেলে ভর্তি হলে সেখানকার এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেই পরিচয়ের সূত্রেই যোগাযোগ থেকে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ওই চিকিৎসককে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। এ সময় তিনি আগে একটি বিয়ে ও সেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন জানিয়ে তালাকের দুটি নোটিশ দেখান। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ২৭ জুন তাদের একটি কন্যাসন্তান হয়। তবে এরমধ্যেই ওই প্রকৌশলীর সন্দেহজনক আচরণ নজরে আসে ওই চিকিৎসকের। এরমধ্যেই তিনি মাঝেমধ্যেই বাসার বাইরে থাকতে শুরু করলে ওই চিকিৎসক জানতে পারেন আহসান হাবীব তার আরেক স্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন। তখনই তিনি জানতে পারেন তার আগেও দুই স্ত্রী রয়েছে। এরমধ্যে একজনের সঙ্গে তালাক হলেও আরেকজনের সঙ্গে তিনি নিয়মিত বসবাস করছেন।

বিষয়টি নিয়ে ২০২১ সালের ৭ জুলাই ওই প্রকৌশলীর বাড়ি গেলে তিনি নির্যাতনের শিকার হন। পরবর্তীতে তিনি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। সে সময় ওই নারী চিকিৎসক গর্ভধারণ করলে তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকে। এমনকি বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতেও চাপ দেয়। এছাড়াও ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে তিনি ৫০ লাখ টাকাও হাতিয়ে নেন। এরপর থেকেই তিনি তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।

গত ২ আগস্ট অজ্ঞাত দুই সন্ত্রাসী ওই চিকিৎসকের বাড়ি গিয়ে তাকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর জেরে ভুক্তভোগী চিকিৎসক প্রধান প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী চিকিৎসক বলেন, ’আমি আমার ও আমার সন্তানের স্বীকৃতি চাই। তার প্রতারণার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয়ে প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা মিথ্যা। সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। সে আমার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী, আদালতে আমাদের একটা মামলা চলমান রয়েছে, আদালতের সিদ্ধান্তর জন্য অপেক্ষা করছি।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD