বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ব্যাংকার স্বামীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে /

সাভারের আশুলিয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রীকে শারীরিক ও মানুসিক নির্যাতনের অভিযোগ ব্যাংকার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় জিডি করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী।সম্প্রতি ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা মৌরিন আক্তার নিজে আশুলিয়া থানায় জিডি করেন জিডি (নং-২১৯৫)।
ভুক্তভোগী ওই স্কুল শিক্ষিকা মৌরিন আক্তার (২৫) আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার মোশারফ হোসেনের মেয়ে। সে আলহাজ্ব জাফর বেপারী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন বলে জানা যায়।অভিযুক্ত স্বামী মশিউর রহমান (৩৪) আশুলিয়া চারিগ্রামের তাফফার রহমানের ছেলে। সে ব্যাংক এশিয়া লিঃ এর মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া শাখায় কর্মরত আছে বলে জানা যায়।জিডি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩ ফেব্রæয়ারি ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের ৩ মাস পরে তাকে বাড়িতে তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও তার স্বামী তাকে বাড়িতে নেয় নাই। অভিযুক্ত স্বামী ভুক্তভোগী স্ত্রীর বাবার বাড়িতে মাঝে মাঝে যাওয়া আসা করতে থাকে। বিবাহের ৩/৪ মাস পর হতে অভিযুক্ত স্বামী কারণে অকারণে তার স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যচার করে। ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করলে তাকে তালাক প্রদানের হুমকি প্রদান করে।এ অবস্থায় গত ১৫ আগস্ট ভুক্তভোগীর বাবার বাসায় এসে তার সাথে সাংসারিক খুটিনাটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু করে এবং তাকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। এ সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে। পরে ভুক্তভোগী বাধ্য হয়ে এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করেন।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষিকা মৌরিন আক্তার বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে সে আমার নিকট মোটা অংকের যৌতুক দাবী করেন। টাকা না দেওয়ায় সে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। আমি কোনো উপায় না পেয়ে থানায় জিডি করতে বাধ্য হয়েছি।হঠাৎ কি কারণে এমন নির্যাতন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিয়ের তিন মাস পরে আমাকে তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সময় আমাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করলেও আমাকে তাদের বাড়িতে নেওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের অযুহাতমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে। পরে সে জানায়, তাদের ক্রয়কৃত ফ্ল্যাটটি কমপ্লিট করতে গেলে আরো দশ লাখ টাকা লাগবে। আমার পরিবার তাকে ইতিমধ্যে ২ লাখ টাকা প্রদান করেছে। সে বাকি টাকার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে। মূলত টাকা না দেয়াতেই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বামী মশিউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন

এস এন্ড এফ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

Developer Design Host BD