সাভারের আশুলিয়ায় মার্কেটের দোকান-পাট ভাংচুর করে ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন ও ২০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জুন) রাতে আশুলিয়ার কোন্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি মো. ওসমান ও লাল মিয়াকে গ্রেফতার করে এসআই রকিবুল হাসানের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি টিম। এর আগে গত ৩১ মে আশুলিয়ার শ্রীপুর বাজারের হাজী মোতালেব মন্ডল মার্কেটে এ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মার্কেট মালিক মোহাম্মদ আলী (৭০) বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন (নং-৬)।
মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন কোন্ডা এলাকার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মো. মুজিবর রহমান (৬০), তার ভাই মোশারফ হোসেন (৫৫), মুজিবরের ম্যানেজার ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী ঢাকার ধামরাইয়ের সৈলান এলাকার মো. ওসমান (৩৫), ঢাকার উত্তরখান এলাকার কুনজোরদিয়া এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে মো. ইব্রাহীম হোসেন (৫০), মৃত কানু প্রামাণিকের ছেলে মো. মহির উদ্দিন (৫৮), মজিবরের অন্যতম সহযোগী বরিশালের লাল মিয়া (৩০) এবং মো. নান্টু মিয়া (৩৮) সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন। এদের মধ্যে এজাহার ভুক্ত ওসমান ও লাল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্র জানায়, আশুলিয়ার শ্রীপুর বাজারে অবস্থিত বাদির মালিকানাধীন হাজী মোতালেব মন্ডল মার্কেট নিয়ে আসামিরা পূর্ব শত্রুতা চালিয়ে আসছিলো। উক্ত শত্রুতার জের হিসেবে গত ৩১ মে সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় কোন্ডা এলাকার একাধিক মামলার আসামি মজিবরের নেতৃত্বে উল্লেখিত আসামিরা অজ্ঞাতনামা লোকজনদের নিয়ে ধারালো অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মার্কেট দখলের লক্ষে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় মার্কেটের দোকানদারদের হুমকি প্রদান করে ২০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন ধরনের কাপড়-চোপড়, জুতা-স্যান্ডেল সহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং ভেকু দিয়ে মার্কেটের দোকান-পাট, হোটেল, মসজিদ ভাংচুর করে প্রায় ৭৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। একপর্যায়ে বাদি ও তার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে বাঁধা দিতে গেলে আসামিরা তাদেরকে খুন জখম করার নিমিত্তে ধাওয়া দেয়, পরে বাদি দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
এলাকাবাসী জানায়, একাধিক মামলার আসামি ও বিভিন্ন অপকর্মের হুতা মুজিবরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তার পালিত ক্যাডার বাহিনী শ্রীপুর কোন্ডা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। গ্রেফতার ওসমান ও লাল মিয়া সহ এজাহারভুক্ত আসামিরা মুজিবরের বিভিন্ন অপকর্মের একান্ত সহযোগি ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল সন্ত্রাসী মুজিবর সহ বাকি পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রকিবুল হাসান বলেন, মার্কেট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।