দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে এক বছরের বেশি সময় বাকি। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোট সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নেমে পড়েছে। বিশেষ করে বড় পরিসরে যেসব কাজ গোছানো প্রয়োজন, সেগুলো এক এক করে শেষ করতে চায় তারা।
গত সপ্তাহ থেকে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেছে ইসি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দেশজুড়ে ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবে সংস্থাটি। তাই এ কাজ সম্পন্ন করতে ইসি থেকে দেশের সর্বত্র নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনাটি ইতিমধ্যে সব জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন অনুমোদিত ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা নীতিমালার’ আলোকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রস্তাবিত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। এতে বলা হয়, ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে খসড়া প্রকাশ, আগস্টে সেই খসড়ার ওপর দাবি/আপত্তি নিয়ে তা নিষ্পত্তি করা হবে।
এরপর ভোট গ্রহণের ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে ইসি। ইসি থেকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো নির্দেশনাটির সঙ্গে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নীতিমালাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব প্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা নদীভাঙন বা অন্য কোনো কারণে বিলুপ্ত না হয়ে গেলে ভোটকেন্দ্র হিসেবে এর ব্যবহার অব্যাহত থাকবে। বিলুপ্তির কারণে আলোচনার ভিত্তিতে পরিবর্তিত কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে।
ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘গত সপ্তাহেই তালিকা প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গেছে। মাঠপর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তারা নির্দেশনা মোতাবেক ভোটকেন্দ্রগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাঁদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী আগামী বছরের মাঝামাঝিতে খসড়া প্রকাশ করা হবে।