ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে দেশের ১৯টি জেলার ৭৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকায় ৩-৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান। তবে, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ সুপার সাইক্লোনের রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে এবং আঘাত হানার সময় বলছে আগামী ২৫ অক্টাবর। ২৪ তারিখ দিবাগত রাতের পর থেকে ২৫ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার সম্ভাবনার কথা।তিনি বলেন, সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান হলো ৮৮. ৫ দ্রাঘিমাংশ এবং ১৬ অক্ষাংশ। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এটি ৮৭ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ এবং ১৭ ডিগ্রি অক্ষাংশের সংযোগস্থলে পৌঁছার পর, সরাসরি উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন নিতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যদি উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন করে তাহলে যে গতিপথ দেখানো হয়েছে, এটি একেবারে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা উপকূলীয় ১৯টি জেলার ৭৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকায় ৩-৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, নিম্নচাপটি এখনো ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে নাম দেওয়া হবে সিত্রাং।প্রতিমন্ত্রী জানান, তারা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছেন এবং ইতোমধ্যে জেলাগুলোতে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।