এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় পবিত্র হজ পালনকারী হাজিদের বেঁচে যাওয়া অর্থ ফেরত দিচ্ছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। খাবার ও প্যাকেজের খরচ কমায় হাজিরা খাবার বাবদ ৩৫ হাজার এবং প্যাকেজের হ্রাসকৃত মূল্য ১১ হাজার ৭২৫ টাকাসহ সর্বমোট ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত পাবেন।
এর মধ্যেই অনেকে এ টাকা উত্তোলন করেছেন। বাকিদের দ্রুত মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা পবিত্র হজ করতে গিয়েছিলেন কিন্তু, খাবার বাবদ ২৫ হাজার টাকা এবং হজ প্যাকেজের খরচ কমা বাবদ ১১ হাজার ৭২৫ টাকাসহ সর্বমোট ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত নেননি, তাদের দ্রুত ধর্ম মন্ত্রণালয় সচিবের বরাবর আবেদন করে টাকা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
নির্ধারিত ছকে হাজির নাম, পিআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর, হিসাবের শিরোনাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ব্যাংকের নাম ও শাখা এবং রাউটিং নম্বর দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ প্যাকেজ করার সময় খাবারের খরচ বাবদ একটা অংশ ধরা হয়। পরবর্তী সময়ে খাবার বাবদ যে টাকা খরচ হয়, তা ওই টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে সাশ্রয় হওয়া টাকা হাজিদের ফেরত দেয়া হয়। প্রতিবছর এ টাকা ফেরত পেয়ে থাকেন হাজিরা।
এ বছরের মার্চে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য ২০২৩ সালে ঘোষিত হজ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত মিনার তাবুর খরচ ৪১৩ রিয়াল বা ১১ হাজার ৭২৫ টাকা (রিয়াল প্রতি ২৮.৩৯ টাকা ধরে) কমায় সৌদি সরকার।
সেসময় ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকারিভাবে নিবন্ধন করা হাজিদের টাকা ঢাকা অফিস থেকে দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে একজন হজযাত্রী খাবারের মূল্য বাবদ ২৫ হাজার টাকার সঙ্গে সৌদি সরকারের কমানো ১১ হাজার ৭২৫ সহ মোট ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত পাবেন।
চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর সৌদিতে যাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বাকি ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলতি বছর হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ বার নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ করা যায়নি।